বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: যুবলীগের ওমর ফারুক চৌধুরীর মতো একই পরিণতি হল আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মো. আবু কাওছারের। জাতীয় সম্মেলনের আগমুহূর্তে তাকেও সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হল।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও তার পদ থেকে নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি তার (কাওছারের) সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি তাকে জানিয়েছি।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোল্লা কাওছার সাংবাদিকদের বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। তার কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। আর রাজনীতি করতে গিয়ে ভুল-ত্রুটি থাকতেই পারে। তিনি আরও বলেন, শুনলাম, সংগঠন থেকে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতি দেয়া হলে আমার কি-ই বা করার থাকতে পারে।
মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি এবং পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১২ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন বছর মেয়াদি কমিটি হয়েছিল। মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ওই কমিটিই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন।
ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়ার পর যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে মদ, নগদ টাকা এবং ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মোল্লা কাওছার ছিলেন এ ক্লাবের সভাপতি। ওই ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গে যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর একেএম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের সঙ্গে মোল্লা কাওছারের নামও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল ইতিমধ্যে কাওছার ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছে।